নির্বাচনোত্তর জাতীয় পরিস্থিতি : বামপন্থার দুই কৌশল

duikoushal

প্রকাশনার কথা


১৯৯৬-এর লোকসভা নির্বাচনের পর জাতীয় রাজনীতিতে অনেক নতুন নতুন ঘটনা ও প্রবণতা সামনে অাসতে থাকে। বিশেষত কেন্দ্রে মোর্চা সরকার গঠন হওয়ার পর ঐ সরকারে অংশগ্রহণের প্রশ্নে বামপন্থী দলগুলোর মধ্যে বিতর্ক দেখা দেয়। বিতর্ক সবচেয়ে বেশি ব্যাপক হয়ে ওঠে সিপিএমের মধ্যে। এই বিতর্কের যবনিকা টানতে নিজের নিজের মতো করে সোচ্চার হন সিপিঅাই-সিপিএম তাত্ত্বিকরা। পরিত্রাতার ভূমিকায় সবচেয়ে সরব হতে কলম ধরেন ইএমএস নাম্বুদ্রিপাদ। বিতর্কের এই সামগ্রিক প্রেক্ষাপট এবং এই বিতর্কে সিপিঅাই(এমএল) লিবারেশনের নির্দিষ্ট অবস্থান নিয়ে এক প্রাণবন্ত বিশ্লেষণ উপস্থিত করেন সাধারণ সম্পাদক কমরেড বিনোদ মিশ্র “জাতীয় রাজনীতির গতিপ্রকৃতি ও বামপন্থার কৌশল” শিরোনামে। এই রচনাটি প্রথম প্রকাষিত হয় দেশব্রতীর শারদ সংখ্য ১৯৯৬-এর পাতায়। ঐ রচনাটি কিছুটা সংক্ষিপ্ত অাকারে এখানে পুনঃপ্রচারিত করা হল। দ্বিতীয়ত ১৯৯৬-এর জুলাই মাসের শেষদিকে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি রাজ্যে রাজ্যে দলের নির্বাচনী পর্যালোচনার যে দলিল প্রস্তুত করে তার সারাৎসার বিশ্লেষণ করতে সিপিঅাই(এমএল) লিবারেশনের পলিটব্যুরো সদস্য কমরেড দীপঙ্কর ভট্টাচার্য অালোচনা করেন “সিপিএমের স্বীকারোক্তি : অচলাবস্থা ব্যাখ্যায় কথার ফুলঝুরি” শিরোনামে। এই অালোচনা প্রথম প্রকাশ হয় লিবারেশন-এর নভেম্বর ১৯৯৬ সংখ্যায়।


বামপন্থী দলগুলোর মধ্যে কৌশলগত লাইনের প্রশ্নে যে বিতর্ক রয়েছে সেই বিতর্কে নতুন মাত্রা সঞ্চার করতে উপরোক্ত দুটি রচনা বিশেষ কার্যকরী হাতিয়ার হয়ে উঠবে এটাই প্রত্যাশা।

Back-to-previous-article
Top