পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন ২০১৬-র শিক্ষা

Booklet 2016 Election

২০১৬ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের শিক্ষা :

ভাবের ঘরে চুরি নয়, কংগ্রেসের সাথে জোটের জট ছেড়ে গণঅান্দোলনের মেঠো পথে এগিয়ে চলুক স্বাধীন সংগ্রামী বামপন্থা

প্রকাশকের কথা


প্রকাশের দিন তিনেকের মধ্যে প্রথম সংস্করণের সমস্ত কপি নিঃশেষ। এরাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকার ও অাগ্রাসী বিজেপির জনবিরোধী নীতি, বিভাজনের রাজনীতি ও শাসক দলের সন্ত্রাস-দুর্নীতিকে কোন পথে প্রতিহত করা হবে তা নিয়ে বামপন্থী মহলে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। এ সম্পর্কে সিপিঅাই(এমএল) লিবারেশনের অবস্থান স্পষ্টভাবে তুলে ধরার এক বিনম্র প্রচেষ্টা এই পুস্তিকা। বামপন্থী রাজনীতি/অান্দোলনের একটি অংশ যখন দুর্বলতা ঢাকা দেওয়ার জন্য কংগ্রসেের মতো দুর্নীতিগ্রস্ত, গণতন্ত্র-বিরোধী, শাসকশ্রেণীর অনুগত দলের সঙ্গে জোট/সমঝোতা করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা, গণঅান্দোলন/শ্রেণীঅান্দোলন গড়ে তোলার তত্ত্ব ফেরি করছে তখন বাম অান্দোলনের সংগ্রামী, নীতিনিষ্ঠ অবস্থান কী হ‍ওয়া উচিত, অভিজ্ঞতাই বা কী বলছে তা স্পষ্ট করার দায়িত্ব অামাদের সকলের। দুর্বলতা ঢাকতে গিয়ে দুর্বলতা অারও বে-অাব্রু করলেন সিপিএম নেতৃত্ব। জোট করে ক্ষমতায় ফেরার বদলে দলের মধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। শৃঙ্খলাভঙ্গের নানাবিধ ঘটনা। পার্টি লাইনকে রক্ষা করার কথা যারা বলছেন, তাঁদের শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে বহিস্কার করা হচ্ছে (কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যা কমরেড জগমতী সাঙ্গায়ান), ‘উপদলীয়’ চক্র বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে। উল্টোদিকে যারা ‘জোট রাজনীতির নৈতিকতা’ রক্ষায় কংগ্রেসের সাথে মিছিলে হাঁটছেন (বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্যের কথা স্মরণ করুন) তাঁদের ‘সতর্ক’ করা হচ্ছে। ‘শৃঙ্খলাভঙ্গের’ বিরুদ্ধে এই দুই ধরনের শাস্তি বিতর্ককে অারও গভীর ও পরিষ্কার করল। নিছক বিতর্ক করাই লক্ষ্য হতে পারে না। দেশ ও রাজ্য জুড়ে শাসকশ্রেণীর হামলা ও গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধের বিরুদ্ধে বাম-গণতান্ত্রিক শক্তির জোরালো প্রতিরোধ গড়ে তোলার দায়িত্ব লড়াকু বাম-গণতান্ত্রিক শক্তিকেই কাঁধে তুলে নিতে হবে। রাজ্যজুড়ে অাক্রান্ত-রক্তাক্ত মানুষের পাশে অামাদের দাঁড়াতে হবে। এ পথেই অামাদের পথ চলা। পথ বন্ধুর, কিন্তু জয় নিশ্চিত।

Back-to-previous-article
Top