রাজ্য জুড়ে নৈরাজ্য, সন্ত্রাস ও বিভাজনের রাজনীতি জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। শাসক দলের দুষ্কৃতিদের হাতে ঘাটাল কলেজে অর্থনীতির অধ্যাপক অমিত রায়কে টিচার্স রুম থেকে টেনে হিঁচড়ে হেনস্থার ঘটনার পাশাপাশি হাওড়ার তরুণ যুবক অরূপ ভাণ্ডারীকে ইভটিজিং প্রতিরোধ করার অপরাধে হত্যার ঘটনা ঘটেই চলেছে। অামরা এর তীব্র নিন্দা করি এবং অপরাধীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাই। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এধরনের ঘটনাকে অাগে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে ছোট ঘটনা বলে অভিহিত করতেন, অার এখন তিনি সম্পূর্ণ মৌনব্রত অবলম্বন করেছেন। যাঁর মুখে কথার ফুলঝুড়ি ফুটত তিনি এখন মৌনীবাবার শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছেন। অন্যদিকে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতি এখানে ওখানে মাথাচাড়া দিচ্ছে কোথাও ধর্মান্তকরণের নাম নিয়ে, কোথাও প্রকাশ্য হুমকি দিয়ে।
কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এই প্রেক্ষাপটে একের পর এক অর্ডিন্যান্স জারি করে চলেছে। মিনিমান গভর্নমেন্ট ম্যাক্সিমাম গভর্ননেন্স শ্লোগান পাল্টে গিয়ে মিনিমাম পার্লামেন্ট ম্যাক্সিমাম অর্ডিন্যান্স-এর পথে কেন্দ্রের মোদী সরকার ভূমিগ্রাস অর্ডিন্যান্স, বেসরকারী বাণিজ্যের লক্ষ্যে কয়লাখনি অর্ডিন্যান্স, বীমা অর্ডিন্যান্স … জারি করে চলেছে। ভারতের রাষ্ট্রপতি পর্যন্ত এভাবে সংসদকে এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতায় ঊষ্মা প্রকাশ করেছেন। রাজ্যের তথাকথিত কৃষক-দরদী মুখ্যমন্ত্রী কৃষির কর্পোরেটাইজেশনের স্বার্থে কৃষি-বিপণন অাইন তৈরি করলেন।
অাগামীকাল ৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৫, দুপুর ১টায় কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা ওয়াই চ্যানেল পর্যন্ত সি পি অাই (এম এল) লিবারেশন পরিচালিত সারা ভারত কৃষক মহাসভা ও সারা ভারত কৃষিমজুর সমিতির পক্ষ থেকে নৈরাজ্য, সন্ত্রাস ও বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে এবং কৃষক বিরোধী জমি অর্ডিন্যান্স ও কৃষি-বিপণন অাইন প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ। সমাবেশে এই অধ্যাদেশ ও অাইনের কপি জ্বালিয়ে দেওয়া হবে। সি পি অাই (এম এল) এবং কৃষক ও কৃষিমজুর সমিতির নেতৃবৃন্দ সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন।
ধন্যবাদান্তে,
পার্থ ঘােষ
রাজ্য সম্পাদক
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি