প্রেস বিবৃতি
১। ১৪ মার্চ নন্দীগ্রাম দিবস। হাজারো প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও ২০০৭-এর ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে যে গণহত্যা সংঘঠিত হয়েছিল অাজও তার বিচার হয়নি। কোনো অপরাধী পুলিশ অফিসারের শাস্তি হয়নি। উল্টোদিকে মমতা ব্যানার্জীর সরকার সেই অপরাধী পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে সি বি অাই-এর তদন্ত প্রক্রিয়াকে নানা অজুহাতে বাধা দিয়ে চলেছে। এমনকি তাদের কাউকে কাউকে প্রমোশন দিয়ে দল-দাস বানিয়েছে। প্রতি বছর অানুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেস নন্দীগ্রাম দিবস পালন করে। জনগণকে স্তোক বাক্য দেয় কিন্তু বিচার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে না। এভাবেই কাশীপুর-বরানগর গণহত্যার বিচারকে শেষপর্যন্ত হিমঘরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সি পি অাই (এম এল) লিবারেশন এবং তার গণসংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে গণহত্যার অপরাধীদের বিচারের দাবিতে ১৪ মার্চ রাজ্যজুড়ে প্রচার অান্দোলন সংগঠিত করবে।
২। অালু, টমাটো ও অন্যান্য কৃষিজাত পণ্যের দাম না পেয়ে কৃষকরা চরম বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে। রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রীকে বারংবার স্মারকলিপি ও ডেপুটেশন দিলেও তাঁদের পক্ষ থেকে সময়মতো উদ্যোগ না নেওয়ার ফলে বর্ধমান জেলায় দুজন কৃষক ঋণের দায়ে অাত্মহত্যা করেছেন। শাসকসুলভ দম্ভে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী ও কৃষিবিপণন মন্ত্রী দুজন কৃষকের অাত্মহত্যাকে নস্যাৎ করে বলেছেন ওরা অাত্মহত্যা করেছে ‘মাতাল’ হয়ে। অথচ কোনো মন্ত্রী বা অামলাই ওই বিপর্যস্ত কৃষক পরিবারের সদস্যদের মুখ থেকে প্রকৃত তথ্য জানার বিন্দুমাত্র অাগ্রহ প্রকাশ করেননি। চার বছরে ‘কৃষক দরদী’ সরকার একটি মাত্র হিমঘর তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। অার ব্লকে ব্লকে কিষাণমাণ্ডি ও হিমঘর তৈরির কথা উন্নয়নের বাকি গল্পের সঙ্গেই মিশে গেছে। ধানের দামও কৃষকরা পায়ননি। কুইন্ট্যাল প্রতি ১৩৫০ টাকা সহায়ক মূল্য ঘোষণা করা সত্ত্বেও কৃষকদের ৮৫০-৯০০ টাকার মধ্যেই ধান বিক্রি করতে হচ্ছে। অবিলম্বে সরকারের পক্ষ থেকে অালু, টমাটো ও ধান চাষিদের কাছ থেকে ক্রয়ের কার্যকরী ব্যবস্থা গড়ে না তুললে রাজ্যজুড়ে কৃষক অাত্মহত্যার মহামিছিল শুরু হবে। কৃষকদের এই বিপর্যয়ের দিনে পার্টির কৃষক ও কৃষিমজুর সংগঠনের পক্ষ থেকে কালনা, মেমারী, সাতগাছিয়া, বৈঁচি ইত্যাদি অঞ্চলে বিক্ষোভ ও রাস্তা অবরোধের কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে। মাঠ থেকেই কৃষকের কাছ থেকে অালু, টমাটো ইত্যাদি ফসল ক্রয়ের ব্যবস্থা না করলে বিক্ষোভ অারও জঙ্গী হবে।
ধন্যবাদান্তে,
পার্থ ঘোষ
রাজ্য সম্পাদক