উত্তরবাংলার তরাই ও ডুয়ার্সের চা-বাগানগুলোতে বিশেষত জি পি গোয়েঙ্কার পরিচালনাধীন ডানকান চা-বাগানগুলোতে একের পর এক চা-শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের মানুষজন অনাহার-অপুষ্টি ও বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছেন। গত ৬ মাসেই এই মৃত্যুর সংখ্যা ১১৫ জন। টি প্ল্যান্টেশন এ্যাক্ট-কে সম্পূর্ণ নস্যাৎ করে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের চোখের সামনে অপরাধী চা-বাগান মালিকরা শ্রমিকের মজুরি, পি এফের টাকা লোপাট করে দিয়েছে। চা-বাগান শ্রমিকরা ন্যূনতম মজুরি পর্যন্ত পান না। অাজকের এই মূল্যবৃদ্ধির সময়ে একজন বাগান শ্রমিক ১১৫-১২০ টাকা মজুরি পান, বন্ধ হয়ে গেলে তাও পান না। গতকাল কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ও রাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জী শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে অালোচনায় সমস্যা সমাধানে বিন্দুমাত্র অাগ্রহ দেখাননি। নানা কথার অাড়ালে মূল সমস্যাকে এড়িয়ে গেছেন।
এর প্রতিবাদে অাজ সি পি অাই (এম এল) লিবারেশনের পক্ষ থেকে উত্তরবাংলার ৭টি জেলায় – উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ-কালিয়াগঞ্জে, দক্ষিণ দিনাজপুরের পতিরামে, জলপাইগুড়ি জেলায় গোশালা মোড়ে, মালদার চাঁচোলে, কোচবিহার জেলায় জাতীয় সড়ক ও পথ অবরোধ করা হয়। দার্জিলিং শহরে অাদালতের সামনে গণঅাইন অমান্য কর্মসূচী সংগঠিত হয়। কালিয়াগঞ্জে রাজ্য কমিটির সদস্য তসলিম অালি ও জেলা সম্পাদক জগদীশ রাজভর সহ ২৬ জন কর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। শিলিগুড়ি শহরে অাইন অমান্য কর্মসূচীতে নেতৃত্ব দেন পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অভিজিৎ মজুমদার ও রাজ্য কমিটি সদস্য বাসুদেব বসু। কলকাতায় পার্টির জেলা কমিটির উদ্যোগে মৌলালী মোড় থেকে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল সংগঠিত হয় এবং মৌলালী মোড় অবরোধ করা হয়। রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার এই মৃত্যুমিছিল বন্ধ করতে অাপতকালীন ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে রাজ্য জুড়ে বড় ধরনের বিক্ষোভ কর্মসূচী সংগঠিত হবে। অাগামী ২১ জানুয়ারী সি পি অাই (এম এল)-এর ডাকা ”জবাব চাই সমাবেশে” উত্তরবাংলার চা-শ্রমিকদের দাবিগুলোকে জোরের সাথে তুলে ধরা হবে।
ধন্যবাদান্তে
পার্থ ঘোষ
রাজ্য সম্পাদক
সি পি অাই (এম এল) লিবারেশন