হে অামার দেশ : উঠে দাঁড়াও

এক নয়া ভারত গড়ে তুলতে : ভগৎ সিং-অাম্বেদকরের পথে

এইচসিইউ থেকে জেএনইউ : ক্যাম্পাস বাঁচাও! গণতন্ত্র বাঁচাও! ভারত বাঁচাও!

    এইচসিইউ, জেএনইউ ও উচ্চ শিক্ষার ওপর অার এস এস-বিজেপি সরকারের হামলা রুখে দাও!

    বন্দি জেএনইউ ছাত্রদের মুক্তি চাই! জেএনইউ ছাত্রদের ওপর থেকে দেশদ্রোহ ও অন্যান্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ তুলে নাও!

    ইন্ডিয়ান পেনাল কোড থেকে দেশদ্রোহ ধারা বাতিল কর !

    ৮ জেএনইউ ছাত্রের ওপর থেকে সাসপেনশন তুলে নাও !

    বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ ও অন্যান্য উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে বর্ণ বৈষম্য সমাপ্ত করতে “রোহিত অাইন” চালু কর!

    এইচসিইউ ও জেএনইউ ছাত্রদের বিরুদ্ধে দমনপীড়ন এবং মিথ্যা প্রচার ও ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য স্মৃতি ইরানিকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে!


“ভগৎ সিং এই সময় তুমি ভারতে জন্ম নিয়ো না

এখনো এখানে দেশপ্রেমিকদের ফাঁসি দেওয়া হয়

যদি তুমি জনতার পক্ষে মুখ খোল, তোমাকে দেশদ্রোহী বলা হবে,

ধর্মঘট তো দূর অস্ত – এমনকি বক্তৃতা দিলেও জেল হবে।”

– শৈলেন্দ্র

এফটিঅাইঅাই থেকে শুরু করে অাইঅাইটি মাদ্রাজ, এইচসিইউ ও জেএনইউ এবং এখন এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় – মোদী সরকার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসমূহের ওপর এবং ভিন্ন মত পোষণের অধিকারের ওপর যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। যদি এই যুদ্ধে এক তরুণ জীবন – রোহিত ভেমুলার – অকালে খসে পড়েছে, অারও কয়েক জন জেএনইউ তরুণ ছাত্র দেশদ্রোহিতার দায়ে অভিযুক্ত, তাদের অকথ্য কুৎসাপ্রচার, গ্রেপ্তারি, সাসপেনশন ও থানা লক-অাপে অত্যাচারের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তবে এইচসিইউ ও জেএনইউ ছাত্রদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বিজেপির ওপর বুমেরাং হয়ে পড়েছে। সারা দেশের জনগণ জেএনইউ ছাত্রদের পুঁজিবাদ, জাতিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবাদ থেকে স্বাধীনতার শ্লোগানকে সমর্থন করেছেন। তারা রোহিত ভেমুলা এবং জেএনইউ ছাত্রদের ভারতের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা ও ভালবাসার জন্য বাহবা জানিয়েছেন। জনগণ উপলব্ধি করছেন যে, যেসব বিজেপি-অারএসএস নেতারা সাংবাদিক ও অান্দোলনকারীদের মারধোর করে, কানহাইয়ার জিভ কেটে দেওয়া বা তাকে গুলি করে হত্যার কথা বলে, যাদবপুরের ছাত্রদের ওপর হামলা চালায়, জেএনইউ-এর ছাত্রীদের বেশ্যা বলে গালাগালি দেয় এবং রোহিত ভেমুলাকে বারে বারে দেশ-বিরোধী তকমা লাগিয়ে দেয় তাদের কোনো দেশপ্রেম নেই। গণতন্ত্র ও ভারতের জনগণের অধিকারের প্রতি তাদের রয়েছে কেবল ঘৃণা ও অবমাননা।

রোহিত ভেমুলা ও জেএনইউ ছাত্রদের ডাইনি খোঁজা


রোহিতকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার করা হয়েছিল এক এবিভিপি নেতাকে অাহত করার ভূয়ো অভিযোগে। তাকে ও তার সাথীদের অাম্বেদকরপন্থী হওয়া এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার বিরুদ্ধে অাওয়াজ তোলার জন্য ‘দেশ-বিরোধী, জাতিবাদী ও উগ্রপন্থী তকমা লাগানো হয়েছে। জেএনইউএসইউ প্রেসিডেন্ট কানহাইয়া কুমার, সাধারণ সম্পাদক রামা নাগা, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট অাশুতোষ কুমার ও প্রাক্তন উপ-সভাপতি অনন্ত প্রকাশ নারায়ণ এবং উমর খলিদ ও অনির্বান ভট্টাচার্য সহ অাট জন ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ভূয়ো ভিডিও, ভূয়ো টুইট ও ভূয়ো গোয়েন্দা রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ অানা হয়েছে। অাবার যেমন রোহিতের মামলায় তাদেরকেও বিজেপি-অারএসএস-এর নীতির বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানানোর অপরাধে ‘দেশ-বিরোধী’ তকমা লাগানো হয়েছে। এবিভিপির উস্কানিতে ও বিজেপি সাংসদদের নেতৃত্বে রোহিত এবং জেএনইউ ছাত্রদের বিরুদ্ধে কুৎসা প্রচার ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। ডাইনি খোঁজার ফলশ্রুতিতে রোহিত ভেমুলার দুঃখজনক মৃত্যুর ঘটনা থেকে শিক্ষা নেওয়ার পরিবর্তে মোদী সরকার জেএনইউ ছাত্রদের ওপর এমনকি অারও জঘন্য রকম ডাইনি খোঁজা চালিয়ে যাচ্ছে।

কেন মোদী সরকার রোহিত ও জেএনইউ-কে ভয় পাচ্ছে?


গ্রামীণ ভারতের বঞ্চিত ও দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে অাসা রোহিত ও জেএনইউ ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছে, পড়াশুনা করছে, দেশের দরিদ্র ও বঞ্চিতদের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে প্রবেশসাধ্য করেছে এবং সমাজের অবহেলিতদের দাবিকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরেছে। কর্পোরেট কর্তৃক উচ্চশিক্ষার অধিগ্রহণ, ফেলোশিপ হ্রাস করে দেওয়া, ভারতের উচ্চশিক্ষাকে ডব্লিউটিও-র কাছে হস্তান্তর করা – এসবের বিরুদ্ধে তারা লড়াই চালিয়েছে। জেএনইউ যে সরকারি ভর্তুকি পায় সেটা তুলে ধরে বিজেপি-অারএসএস প্রশ্ন তুলেছে যে, যে সরকার তাদের ভর্তুকি দিচ্ছে তার বিরুদ্ধে জেএনইউ ছাত্ররা কেন বলবে? অামরা তাদের বলতে চাই : সরকার প্রদত্ত নিরপেক্ষ সমদর্শী উচ্চমানের শিক্ষা এবং রাজনৈতিক স্বাধীনতা দেশের ছাত্র ও যুবদের মৌলিক অধিকার। ভর্তুকি কোনো দয়া দাক্ষিণ্য নয় – না তা অামাদের ভিন্ন মত প্রকাশ করা, বিতর্ক করা ও প্রশ্ন করার গণতান্ত্রিক অধিকারের বিনিময়ে অর্জন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চলে দেশের অাপামর শ্রমিক ও কৃষকের শ্রমের টাকায় অার তাই জেএনইউ ছাত্ররা তাদের জন্য কথা বলে। মোদী ও তার মন্ত্রীরা রোহিত ও জেএনইউ এবং অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের কর্মীদের ভয় পায়, কারণ তারা সরকারের ছাত্র-বিরোধী ও দরিদ্র-বিরোধী মনোভাবকে উন্মোচিত করে দেয়।

কারা ভারতের ধ্বংস ও বিভাজন চায় অার কারাই বা তার জনগণকে রক্ষা করছে?


জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯ ফেব্রুয়ারী কিছু দুর্ভাগ্যজনক শ্লোগান ওঠার পর জেএনইউ ছাত্র ইউনিয়ন (জেএনইউ এসইউ) এবং জেএনইউ-র সমস্ত প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক সংগঠন ‘ভারতের ধ্বংস চাই’ এই ধরনের বিভাজনমূলক শ্লোগানের নিন্দা জানায়। তবে এখন এটা পরিস্কার যে শ্লোগান সংক্রান্ত ইস্যুটা সরকারের কাছে জেএনইউ-র ওপর সর্বাত্মক অাক্রমণ নামিয়ে অানার জন্য একটা ছুতো মাত্র। তার কারণ জেএনইউ ছাত্ররা শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যয়বরাদ্দ হ্রাস, সরকারের সমস্ত ধরনের ছাত্র-বিরোধী ও জনবিরোধী নীতির তীব্র বিরোধিতা করে যাচ্ছে।

সর্বোপরি, যখন কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীরা ভারতবাসীদের রামজাদে ও হারামজাদে, যারা গোমাংস ভক্ষণ করে ও যারা তা করে না এইভাবে বিভাজিত করার চেষ্টা করছে, যখন তারা অান্তঃজাতি ও অান্তঃধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বিবাহের বিরোধিতা করছে, যখন তারা গণহত্যায় মৃত দলিতদের ‘কুকুর’এর সাথে তুলনা করে তখন তারা ভারতকে টুকরো টুকরো করছে না? যখন অারএসএস-এর সমর্থকরা গান্ধী থেকে দাভলকার, কালবুর্গীদের মতো মানুষদের তাঁদের চিন্তাধারার জন্য হত্যা করে চলেছে তখন তারা ভারতকে ধ্বংস করছে না? এই সমস্ত শক্তিকে প্রতিরোধ করে ছাত্ররাই ভারতীয় জনগণের ঐক্যকে রক্ষা করছে।

একজন অত্যন্ত খ্যাতনামা বিজেপিপন্থী ব্যক্তিত্ব অনুপম খের এইচসিইউ থেকে জেএনইউ-এর ক্যাম্পাসে নামিয়ে অানা দমনপীড়নকে কীটনাশক ছড়ানোর সাথে তুলনা করেন, অন্যদিকে বিজেপি ও এবিভিপির নেতারা ক্যাম্পাস থেকে বামপন্থী ও প্রগতিশীলদের বহিস্কার করার ও তাদের থেকে ক্যাম্পাসকে শুদ্ধ করার ডাক দিয়েছে। তাহলে রোহিত ভেমুলা কি একজন কীট ছিল, যাকে এইচসিইউ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে ক্যাম্পাস পরিশুদ্ধ করার জন্য? এই অমানবিক ভাষা হিটলারের জার্মানিকে স্মরণ করিয়ে দেয় এবং এই রকম অারও মন্তব্য বিজেপি নেতাদের, যাতে তারা অাক্রান্ত দলিত ও মুসলিমদের কুকুর ও কুকুরের বাচ্চার সাথে তুলনা করে।

যখন সরকার কৃষক ও অাদিবাসীদের জমি ও সম্পত্তি কেড়ে নিয়ে বহুজাতিকদের হাতে তুলে দেয়, যখন শ্রমিকদের ওপর অাক্রমণ নামিয়ে অানে, যখন উচ্চশিক্ষাকে ‌‌ডব্লিউটিও-র কাছে বিক্রি করে দেয়, যখন ছাত্রদের জন্য জীবিকার ব্যবস্থা করতে অস্বীকার করে ভবিষ্যত ধ্বংস করে দেয় তখন তারা ভারতকে ধ্বংস করছে না? জেএনইউ ছাত্ররা ও দেশের ছাত্র-যুবরা এবং দেশের জনগণের অান্দোলনই প্রকৃত অর্থে দেশপ্রেমিক এবং তারাই প্রকৃত অর্থে দেশের জনগণকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করছে।

রোহিত ভেমুলা ও জেএনইউ-এর সমর্থনে সাহসী ছাত্র-যুব অান্দোলন অারএসএস-এর ‘জাতীয়তাবাদ’-এর মুখোশ খুলে দিয়েছে এবং সংবিধান প্রদত্ত স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করা, হিন্দুত্ববাদ ও কর্পোরেটপন্থী এজেন্ডার বিরুদ্ধে ভিন্ন স্বরকে স্তব্ধ করে দেওয়া – সরকারের এই সমস্ত অাসল এজেন্ডাকে উন্মোচিত করে দিয়েছে। অার সরকার এগুলো সম্পন্ন করছে গুণ্ডাদের দ্বারা, খুন-হামলা ও পুলিশী মেশিনারিকে ব্যবহার করে।

অাম্বেদকর-ভগৎ সিং-এর চিন্তাধারা ও সংবিধানের ওপর অাক্রমণ

কিছু কিছু সংবাদ চ্যানেল জাল ভিডিও এবং জাল তথ্যসমূহ ব্যবহার করে জেএনইউ ছাত্রদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানো ও হিংসাত্মক কার্যকলাপ চালানোর জন্য উস্কানি দিয়েছিল, তা এই ছাত্র অান্দোলন পুরোপুরি উন্মোচিত করে দিয়েছে। এই কলঙ্কজনক অাচরণের বিপরীতে কোনো কোনো সাংবাদিক সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন যার মধ্যে রয়েছেন এক তরুণ সাংবাদিক, যে ঐ ধরনের এক চ্যালেন থেকে ইস্তফা দিয়েছেন এবং জেএনইউ ও বাম-বিরোধী উন্মাদনা সৃষ্টি করতে উস্কানি দিতে জাল ভিডিও বানানোর ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকাকে উন্মোচিত করে দিয়েছে।

সঙ্ঘী-ঘৃণা অভিযানে শ্লোগান তোলা হয় “যে অাফজলের কথা বলবে সে অাফজলের মতোই মরবে”, যদিও বিজেপি অাবারও অাফজল গুরুর ফাঁসিকে “বিচারের প্রহসন” বলেছে এবং অাফজলের দেহাবশেষ কাশ্মীরে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি রেখেছে।
কিন্তু এটা অার এখন গোপন নেই যে “অাফজল কি বাত”-এর বিরুদ্ধে ঘৃণা শুধু একটা ছুতো মাত্র : এমনকি ‘অাম্বেদকর কি বাত’ও (অাম্বেদকরের চিন্তাধারা) ঘৃণা ও হামলার সম্মুখীন হয়েছে। বিজেপির যুব শাখা ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা সম্প্রতি গোয়ালিয়রে জেএনইউ-এর অধ্যাপক বিবেক কুমারের ওপর গুলি চালায় যখন তিনি “অাম্বেদকরের স্বপ্নের ভারত” শীর্ষক একটি সভায় বক্তৃতা দিতে মঞ্চে উঠেছিলেন। বিজেওয়াইএম সেখানে ভারতের সংবিধানের কপি ও তার সাথে ডঃ অাম্বেদকরের অন্যান্য রচনার কপি পোড়ায়।

বিজেপি, অারএসএস ও এবিভিপি অাম্বেদকর এবং ভারতীয় সংবিধানের প্রতি তাদের ঘৃণা ও অসহনশীলতাকে গোপন রাখতে পারছে না। অাদালত প্রাঙ্গনে ছাত্র, শিক্ষক ও সাংবাদিকদের মারধোর করতে “অাইনজীবী”দের ও এক বিজেপি বিধায়ককে খোলাখুলি অনুমোদন দিয়ে মোদী সরকার এক বার্তা দিচ্ছে সংবিধান অবমাননার।

মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির ডাকা উপাচার্যদের সভায় ক্যাম্পাসে দলিত অাত্মহত্যা, বর্ণবৈষম্য রুখতে “রোহিত এ্যাক্ট” চালু করার দাবি সহ থোরাট কমিটির সুপারিশ কার্যকরী করা ইত্যাদি জ্বলন্ত ইস্যুগুলোর ব্যাপারে নিঃশ্চুপ থাকা হয়। চুপচাপ থাকা হয় স্কলারশিপ হ্রাস করে দেওয়া ও ভারতের উচ্চশিক্ষার ওপর ডব্লিউটিও-র অাইন চাপানোর পদক্ষেপের বিষয়ে। বিপরীতে মন্ত্রীমহোদয়া লজ্জাজনকভাবে এই সমস্ত জ্বলন্ত ইস্যুগুলো চাপা দেওয়ার চেষ্টা চালালেন সমস্ত ক্যাম্পাসে তেরঙ্গা ঝাণ্ডা উড়ানোর ফতোয়া জারি করে – যদিও অধিকাংশ ক্যাম্পাসেই ইতিপূর্বেই তেরঙ্গা ঝাণ্ডা ওড়ানো রয়েছে।

সংঘ পরিবার এবং মোদী সরকার সাভারকর (যিনি ব্রিটিশ সরকারের কাছে করুণা ভিক্ষা করে ভারতের স্বাধীনতার প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন) ও গডসে (যিনি গান্ধীজীর হত্যাকারী, অাতঙ্কবাদী)-র ভক্ত, কিন্তু তারা সর্বদাই অাম্বেদকর ও ভগৎ সিং-এর ঐতিহ্যকে ভয় পেয়েছে ও ঘৃণা করে এসেছে। অার ওখন তারা অাম্বেদকর ও ভগত সিং-এর অনুগামীদের ‘দেশদ্রোহী’ ছাপ মারার কাজে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এই কাজে তারা অবশ্যই ব্যর্থ হবে – এবং অাম্বেদকর ও ভগৎ সিং-এর তরুণ সাহসী অনুগামীরা তাদের মুখের মতো জবাব দেবে এবং সংঘী হামলার কবল থেকে গণতন্ত্রকে রক্ষা করবে।

জাতপাতবাদ নির্মূল করার জন্য ডঃ অাম্বেদকরের স্বপ্নকে সাকার করতে হাজার হাজার জনতা অাজ ময়দানে নেমেছে। অাজকের এই জনজাগরণ দাবি জানাচ্ছে ভগৎ সিং যে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিলেন সেই স্বাধীনতার – “এক অামূল পরিবর্তন তাই অাজ প্রয়োজন এবং যারা তা উপলব্ধি করছেন তাদের দায়িত্ব হল এক সমাজতান্ত্রিক ভিত্তির ওপর সমাজের পুনর্গঠন করার। যতক্ষণ তা না করা হচ্ছে এবং মানুষ কর্তৃক মানুষের, এক জাতি কর্তৃক অপর জাতির সাম্রাজ্যবাদী শোষণের অবসান না ঘটানো যাচ্ছে, মানবজাতি যে দুর্দশা ও ব্যাপক হত্যালীলার বিপদের সম্মুখীন হয়ে পড়েছে অাজ, তাকে প্রতিহত করা যাবে না এবং যুদ্ধ অবসানের ও বিশ্বশান্তির এক নতুন যুগের সমস্ত কথাবার্তা হবে খোলাখুলি ভণ্ডামি”।

২৩ মার্চ ব্রিটিশ শাসকরা ভগৎ সিং-কে ফাঁসি দিয়েছিল। এ বছর ১৪ এপ্রিল বাবাসাহেব অাম্বেদকরের ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী। এঅাইএসএ-অারওয়াইএ সকলের কাছে অাবেদন জানাচ্ছে “নয়ে ভারতকে ওয়াস্তে, অাম্বেদকর-ভগৎ সিং-কে রাস্তে – ২৩ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল” অভিযানে সামিল হোন।

অল ইন্ডিয়া স্টুডেনস অ্যাসোসিয়েশন (এঅাইএসএ), অল ইন্ডিয়া ইয়ুথ অ্যাসোসিয়েশন (অারওয়াইএ)

website : www.aisa.in facebook : fb.com/officialaisa
Poster 2

Back-to-previous-article
Top